ব্যবসায় শুরু করতে চাচ্ছেন কিন্তু পুঁজি কম? চিন্তার কোন কারণ নেই। আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। যাদের পুঁজি কম বা ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে পাচ্ছেন না, তাদের জন্য এই পোস্টটি অনেক সহায়ক হবে বলে আশা করছি।
আমাদের দেশে চাকুরির বাজারে সবাইকে পেড়িয়ে চাকুরী পাওয়া যেন সোনার হরিণ পাওয়ার মতো অবস্থায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই, অনেক যুবক ভাই-বোন এখন স্বাবলম্বী হওয়ার লক্ষ্যে ব্যবসায় শুরু করছেন। অনেকেই ব্যবসায় শুরু করতে চেয়েও শুরু করতে পারছেন না পুঁজি কম থাকায়। অল্প পুজির ব্যবসায় আইডিয়া খুঁজে পাওয়া একটু কষ্টকর বটে। তাই, মাত্র ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া পেতে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে হবে।
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া তালিকায় এমন কিছু ব্যবসার নামের তালিকা করেছি, যেগুলো করতে আপনাকে তেমন কোন পরিশ্রম করতে হবে না। আপনি যদি আগে কোন ব্যবসায় যোগ না দিয়ে থাকেন, তবু এই ধরণের ব্যবসায় শুরু করতে পারবেন। কী কী সেই ব্যবসায়গুলো যেগুলো একজন নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে আপনিও গ্রহণ করতে পারেন জানতে পারবেন নিচে।
তবে একটি কথা মাথায় রাখতে হবে, আমি যেসব ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করবো, সেগুলো সব আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে। কারণ, ব্যবসা শুরু করার আগে কোন ব্যবসায়টি আপনার সাথে যায়, আপনার এলাকার পরিবেশের সাথে যায় এ সবকিছু বিবেচনা করতে হবে। অতঃপর, আমার দেয়া তালিকা থেকে আপনি সর্বোত্তম ব্যবসায়টি বেঁছে নিতে সেটি শুরু করতে পারবেন।
১.সিজনাল ফলের ব্যবসা
একেক সিজনে একেক ধরণের ফল আসে। আমের সিজন আসলে অনেকেই আমের ব্যবসা শুরু করে দেন। লিচুর সিজনে অনেককেই দেখবেন লিচু বিক্রি করছে। আপনি যদি অল্প সময়ের মাঝে ব্যবসা করে সফলতা মুখ দেখতে চান, তবে সিজনাল ফোনের ব্যবসা শুরু করে দিন। এতে করে, অল্প সময়ে বেশি পরিমাণ টাকা মুনাফা করতে পারবেন। সরাসরি ফলের বাগান থেকে বা পাইকারি বাজার থেকে ফল ক্রয় করে এলাকার বাজারে বা বড় বাজারে বিক্রি করলে অতি দ্রুত লাভবান হওয়া যায়।
সিজনাল ফলের ব্যবসা করতে বেশি পরিমাণে টাকা বিনিয়োগ করতে হয় না। আপনি চাইলে ১০ হাজার টাকা দিয়ে এই ব্যবসায়টি শুরু করতে পারবেন। ১০ হাজার টাকার ব্যবসার আইডিয়াগুলোর মাঝে এটি অন্যতম সেরা একটি আইডিয়া, যা কাজে লাগিয়ে অনেকেই লক্ষাধিক টাকা অব্দি ইনকাম করছে। উদাহরণ দেখতে চাইলে বাজারে গিয়ে বিভিন্ন ডাব বিক্রেতাদেরকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
২. টিউশন সেন্টার
আপনার এলাকায় বা বিভিন্ন স্কুলের পাশে নিশ্চয়ই অনেক টিউশন সেন্টার দেখেছেন। আপনার এলাকায় কোন স্কুল বা কলেজ থাকলে অথবা বড় কোন স্কুল বা কলেজের কাছে একটি টিউশন সেন্টার খুলতে পারেন। এতে করে, আশেপাশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদেরকে আপনার টিউশন সেন্টারে নিয়ে আসতে পারবেন। টিউশন সেন্টারে আপনি নিজে বা ভালো পড়াতে পারেন এমন শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারেন।
📌 আরো পড়ুন 👇
পড়ালেখার মান ভালো করতে পারলে দুর-দুরান্ত হতে অনেক শিক্ষার্থী আসবে আপনার টিউশন সেন্টারে পড়ার জন্য। অনেক কলেজ শিক্ষার্থী তাই এমন টিউশন সেন্টার ব্যবসা শুরু করেছেন। বেকার বসে না থেকে এই ব্যবসা করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে মনে রাখতে হবে, এই ব্যবসায় আপনি যত ভালো মানের শিক্ষক নিয়োগ করবেন, ব্যবসা তত বেশি বৃদ্ধি পাবে।
৩. ই-কমার্স ওয়েবসাইট
অনলাইনে বিভিন্ন ধরণের পণ্য বিক্রি করার সর্বোত্তম মাধ্যম হচ্ছে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট। নির্দিষ্ট যেকোনো ধরণের পণ্য বা অনেকগুলো পণ্য বিক্রি করতে পারবেন একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে। অনেক ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত লক্ষাধিক টাকার পণ্য বিক্রি করছে। আমাদের দেশে এমন অনেক ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে।
এছাড়াও, অ্যামাজন, আলিবাবা এর মতো আরও অনেক ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করে থাকে। ১০ হাজার টাকা পুঁজির ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে থাকলে আপনি ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসাটি করতে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে আপনার ইচ্ছেমতো পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।
৪. টেলিকম ব্যবসা
সিমে রিচার্জ, মিনিট প্যাকেজ, ইন্টারনেট প্যাকেজ সহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট রয়েছে আপনার এবং আমার এলাকার বাজারে। এই ধরণের ব্যবসাগুলোই হচ্ছে টেলিকম ব্যবসা। সিমে টাকা রিচার্জ বা বিকাশ, নগদ সহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং এর এজেন্ট হয়ে আপনিও টেলিকম ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ধরণের ব্যবসায় কোম্পানি থেকে আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা কমিশন দেয়া হবে।
আপনার যদি একটি মুদি দোকান বা অন্য কোন ধরণের ব্যবসায় থাকে, তবে সেখানে আপনি এজেন্ট নিয়ে এই ধরণের টেলিকম ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এতে করে, বসে থেকে ভালো পরিমাণে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়াও, অনেকেই ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে সিমের অফার বিক্রি করে থাকেন। এই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন এবং একটি ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন। অনেক দোকান রয়েছে যারা শুধু এই টেলিকম ব্যবসা দিয়েই ভালো পরিমাণে টাকা উপার্জন করছেন।
৫. ভিডিও এডিটিং করা
ভিডিও এডিটিং করে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করছে। আপনার কাছে যদি একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকে, তবে আপনি ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে ভিডিও এডিটিং কোর্স করতে পারেন। কোর্স করে ভিডিও এডিটিং এর সবকিছু শিখে নিজে এডিটিং চর্চা করার মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। এরপর, চাইলে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
📌 আরো পড়ুন 👇
এছাড়াও, ভালো মানের ভিডিও এডিটিং করতে পারলে অনেক সময় বিভিন্ন বড় প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ পাওয়া যায়। ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়াগুলোর মাঝে এটি সবথেকে সেরা একটি। এর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই কাজ শিখতে পারবেন এবং ঘরে বসেই টাকা উপার্জন শুরু করতে পারবেন।
৬. দর্জির দোকান
আপনার এলাকায় নিশ্চয়ই দর্জির দোকান রয়েছে। দর্জির কাজ পারলে একটি দর্জির দোকান দিতে পারেন আপনিও। দর্জির দোকানে আশেপাশের এলাকা থেকে অনেক কাপড় আসে। এই ব্যবসায়টি শুরু করার জন্য আপনাকে শুধু দর্জির কাজ জানতে হবে। এখন সরকারী উদ্যোগে অনেক জায়গায় দর্জির কাজ ফ্রিতে শেখানো হচ্ছে। এছাড়াও, কাজ শিখলে সেলাই মেশিন ফ্রিতে দেয়।
দর্জির কাজ শিখে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে আপনিও দর্জির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ধরণের ব্যবসা করে বসে থেকে সেলাই করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়া, এই ব্যবসায় কোনো রিস্ক নেই। যারা রিস্ক ফ্রি ব্যবসায় আইডিয়া খুঁজে থাকেন, তাদের জন্য এই ব্যবসায় আইডিয়াটি সেরা বলে আমি মনে করি।
৭. ফটোগ্রাফি করা
আজকাল ফটোগ্রাফি কাজের অনেক ডিমান্ড তৈরি হচ্ছে যা আগে তেমন দেখা যেতো না। আপনার কাছে একটি ক্যামেরা থাকলে ফটোগ্রাফি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফটোগ্রাফি করাও একটি বিজনেস। আপনি চাইলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক জায়গা বা পার্কে গিয়ে ছবি তুলে দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। অনেকেই কক্সবাজার সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ফটোগ্রাফি করে থাকেন। এই ব্যবসাটি করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
এছাড়াও, ফটোগ্রাফি করে ভালো মানের ছবি তুলতে পারলে এই ছবিগুলো অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিক্রি করে দিতে পারবেন। ফটোগ্রাফি জানলে বিভিন্ন পদ্ধতিতে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যারা ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া খুঁজছেন যেখানে রিস্ক নেই এবং অনেক সহজ, তারা এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
৮. ড্রপশিপিং বা রিসেলিং করা
ড্রপশিপিং ব্যবসার নাম শুনেছেন আগে? আমরা জানি যে যেকোনো ব্যবসা শুরু করতে গেলে আগে পুঁজি জমা করতে হয়। কারণ, ব্যবসায় শুরু করতে হলে পণ্য প্রয়োজন। এই পণ্য ক্রয় করার জন্য পুঁজি প্রয়োজন। কিন্তু, ড্রপশিপিং ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনাকে বিনিয়োগ করে পণ্য ক্রয় করতে হবে না। অন্য কোম্পানির পণ্য আপনি বিক্রি করতে পারবেন। এই ড্রপশিপিং করে অনেকেই প্রচুর টাকা উপার্জন করছেন।
রিসেলিং ব্যবসার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। অন্য কারও পণ্য অল্প বেশি দামে বিক্রি করে দিয়ে আপনি কমিশন রাখতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে যারা নতুন ব্যবসায় শুরু করতে চান, তারা ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়াগুলোর লিস্টে এই ব্যবসায়টি রেখেছি কারণ, ১০ হাজার টাকা ইনভেস্ট করলে আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে এবং আনুসাঙ্গিক সব খরচ করে ড্রপশিপিং বা রিসেলিং ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
৯. ফাস্ট ফুডের দোকান
এলাকায় বা রাস্তার পাশে ছোট একটি ফাস্ট ফুডের দোকান দিয়ে সেখানে বিকেল বেলা থেকে রাত অব্দি কাজ করলে ভালো পরিমাণে উপার্জন করা সম্ভব। রাস্তার পাশে অনেক জায়গায় ছোট ফাস্ট ফুডের দোকান দেখে থাকবেন। অনেকেই ফুচকা, ভেলপুরি, ঝালমুড়ির দোকান দিয়ে থাকেন। মনে হতে পারে যে বিক্রি কম হয় বা লাভ কম। কিন্তু, এই ধরণের ব্যবসায় অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।
১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে এই ব্যবসায় আইডিয়াটি কাজে লাগিয়ে প্রতিদিন ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ব্যবসা ভালো পর্যায়ে গেলে আরও বড় পরিসরে মুভ করতে পারবেন।
১০. ওয়েডিং প্লানার
বিয়ের বড় অনুষ্ঠানে অনেক পরিবার পুরো বিয়ের প্লান করার ঝামেলা নিতে চান না। এজন্য, তারা বিভিন্ন ওয়েডিং প্লানার এজেন্সিকে এই দায়িত্ব দিয়ে থাকেন। আপনি যদি বড় কোনো অনুষ্ঠান ম্যানেজ করার মতো সক্ষম হয়ে থাকেন, তবে একটি ওয়েডিং প্লানার এজেন্সি তৈরি করতে পারেন। এরপর, অন্যরা যখন আপনাকে বা আপনার এজেন্সিকে হায়ার করবে, অনুষ্ঠানের সকল প্লান ঠিকভাবে করে সবকিছু সুন্দর করে সম্পন্ন করার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
📌 আরো পড়ুন 👇
আপনার কাছে হয়তো মনে হতে পারে যে এই ধরণের কাজে ইনকাম নেই। তবে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় অনুষ্ঠানগুলোতে ওয়েডিং প্লানার এজেন্সি দিয়ে সবকিছুর আয়োজন করানো হয়ে থাকে। এটিও একটি অল্প পুজির ব্যবসায় আইডিয়া।
১১. মধু বিক্রি করা
খাঁটি মধুর চাহিদা অনেক বেশি। মধুর মাঝে ভেজাল মিশিয়ে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী বিক্রি করছে। তাই, আপনি চাইলে খাঁটি মধু বিক্রি করা শুরু করতে পারেন। খাঁটি মধু বিক্রি করতে পারলে অনেক দ্রুত আপনার ব্যবসা বৃদ্ধি পাবে। খাঁটি মধু সংগ্রহ করতে পারেন বন থেক কিংবা সরাসরি মধুর চাক থেকে। অনেকেই মধুর চাক কেটে থাকেন, তাদের সাথে যোগাযোগ করে মধুর চাক কেটে খাঁটি মধু সংগ্রহ করে মধু বিক্রির ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়াগুলোর মাঝে এটিও অন্যতম একটি ইউনিক আইডিয়া। আপনি যদি খাঁটি মধু সংগ্রহ করতে পারেন, তবে দ্রুত এই ব্যবসায় লাভবান হতে পারবেন। খাঁটি মধু সংগ্রহ করার জন্য মৌমাছি চাষ শুরু করতে পারেন।
১২. খাবার হোম ডেলিভারি করা
বাসায় তৈরি খাবারের চাহিদা শহরাঞ্চলে ব্যস্ত জায়গায় অনেক বেশি। অনেকেই চাকুরি করেন আবার কেউ হয়তো শিক্ষার্থী। তাই, এসব জায়গায় খাবারের মান ভালো হয় না অনেক সময়। তাই, আপনি যদি হোম মেড খাবার ডেলিভারি করতে পারেন, তবে অনেক কাস্টমার পাবেন। ছাত্রাবাস সহ বিভিন্ন মেসে হোম মেড খাবার ডেলিভারি নিয়ে থাকে অনেকেই। এই ডেলিভারিগুলো করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
এছাড়াও, ফুড পান্ডার মতো বিভিন্ন কোম্পানির হয়ে খাবার হোম ডেলিভারি করতে পারেন। এই ধরণের কাজ করেও অনেকেই এখন টাকা ইনকাম করছেন। এই ব্যবসায়টিও আপনি ১০ হাজার টাকা হলেই শুরু করতে পারবেন।
১৩. অনলাইনে মেয়েদের প্রসাধনী বিক্রি
এফ-কমার্স বা ই-কমার্স এর মাধ্যমে মেয়েদের বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রি বিক্রয় করা যায়। ফেসবুক চালানোর সময় হয়তো মেয়েদের বিভিন্ন প্রসাধনীর বিজ্ঞাপন দেখেছেন। অনেকেই ফেসবুক পেজ তৈরি করে মেয়েদের এসব প্রসাধনী বিক্রয় করে থাকেন। আপনিও চাইলে ফেসবুকের মাধ্যমে এই ধরণের ব্যবসায় শুরু করতে পারেন। এছাড়াও, ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করেও বিক্রয় শুরু করতে পারেন।
এফ-কমার্স এবং ই-কমার্স ওয়েবসাইট উভয় ব্যবহার করে আপনি চাইলে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ফেসবুকে অ্যাড দেয়া এবং ওয়েবসাইট এসইও করার মাধ্যমে আপনার এই ব্যবসায়ের বিক্রয় অনেক বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি করতে পারবেন।
১৪. ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটিং
আমার এই লেখাগুলো এখন নিশ্চয়ই একটি ওয়েবসাইটে পড়ছেন। এমন কোটি কোটি ওয়েবসাইট রয়েছে পুরো দুনিয়া জুড়ে। এই ওয়েবসাইটগুলোতে অনেক কন্টেন্ট পাবলিশ করা হয়ে থাকে। এই কন্টেন্ট গুলো নিশ্চয়ই ওয়েবসাইটের মালিক একা লিখেন না। একটি ওয়েবসাইট যখন বড় হয়, তখন কন্টেন্ট লেখার জন্য ওয়েবসাইটের মালিকরা কন্টেন্ট রাইটার হায়ার করে থাকেন।
আপনি যদি ইংলিশ বা বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং করতে পারেন, তবে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে সার্ভিস দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এসইও কন্টেন্ট, অ্যাফিলিয়েট কন্টেন্ট, ব্লগ কন্টেন্ট, কপি রাইটিং সহ অনেক ধরণের কন্টেন্ট এর চাহিদা রয়েছে। একজন ভালো মানের কন্টেন্ট রাইটার হলে আপনি যেমন ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটিং করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন, তেমনি নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে লেখালেখি করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
১৫. মোবাইল রিপেয়ারিং শপ
মোবাইল নষ্ট হলে ঠিক করতে পারেন? তাহলে আপনি চাইলে এলাকায় একটি মোবাইল রিপেয়ারিং শপ দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যদি কাজ জানা না থাকে, কিন্তু এই কাজের উপর আগ্রহ থাকে, তবু আপনি চাইলে মোবাইল রিপেয়ারিং শপ দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অন্য যেকোনো একজন দক্ষ লোকের কাছে থেকে এই কাজ শিখে নিতে পারবেন।
📌 আরো পড়ুন 👇
একটি মোবাইল রিপেয়ারিং করার জন্য অনেক মেকানিক ৫০০ থেকে এর কয়েক গুণ বেশি টাকা নিয়ে থাকেন। ভালো মেকানিক হতে পারলে প্রচুর কাজ করতে পারবেন। যা করে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এই ব্যবসায় ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলেই হয়ে যাবে। তাই, ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া তালিকায় এটি রেখেছি।
১৬. অনলাইনভিত্তিক বইয়ের দোকান
আমাদের দেশের অনেক জনপ্রিয় কয়েকটি অনলাইনে ভিত্তিক বই বিক্রির প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা পুরো বাংলাদেশ জুড়ে অনলাইনে বইয়ের ব্যবসা করছে। আপনি চাইলে এই ধরণের অনলাইনে ভিত্তিক বইয়ের দোকান করতে পারেন। কেউ যখন বই অর্ডার করবে, তার ঠিকানায় বইটি পাঠিয়ে দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এই ব্যবসা করার জন্য ফেসবুক ব্যবহার করতে পারেন। অথবা, আপনি চাইলে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে এই ব্যবসায়টি শুরু করতে পারেন।
অনলাইনে বই এর দোকান দেয়ার মাধ্যমে আপনি অল্প সময়ে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। অনেকেই ফেসবুকে পেজ তৈরি করে বই বিক্রি করে থাকে। এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়াটি কাজে লাগাতে পারেন।
১৭. অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা
অনলাইনে কাপড় বিক্রি করার মাধ্যমে অল্প বিনিয়োগ করেও সফল হয়েছে অনেকেই। এখন তারা অনেক বড় বড় কাপড়ের দোকানের মালিক। এমন নজির আমাদের দেশে কম নেই। আপনি যদি অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে ভালো একটি রিস্ক ফ্রি ব্যবসায় শুরু করতে চান, তবে অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে, ফেসবুক ব্যবহার করতে পারেন। ফেসবুক পেজ তৈরি করে সেখানে অ্যাড দেয়ার মাধ্যমে অথবা ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করেও এসইও করার মাধ্যমে ব্যবসায়ের বিক্রি বৃদ্ধি করতে পারবেন।
১০ হাজার টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করার মাধ্যমে এই ব্যবসায় শুরু করে ধীরে ধীরে আপনার ব্যবসায়টি বড় করতে পারবেন। ফেসবুকে এমন অনেক পেজ আছে, যারা এই ব্যবসায় করেই টাকা উপার্জন করছেন।
১৮. ইউটিউবিং করা
ইউটিউব এ ভিডিও দেখেন নিশ্চয়ই? ইউটিউব এ যারা ভিডিও তৈরি করেন, তারা কিন্তু কোন লাভের আশা ছাড়া এমনিতেই ভিডিও বানান না। ইউটিউব ভিডিও দেখার সময় যে অ্যাড দেখানো হয়, এই অ্যাড থেকে তারা টাকা ইনকাম করে থাকেন। এগুলো হচ্ছে গুগল অ্যাডসেন্স এর অ্যাডস। আপনি যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে সেখানে ভিডিও বানানো এবং পাবলিশ করা শুরু করেন এবং ইউটিউব এর সকল শর্ত মানেন, তবে আপনিও আপনার ইউটিউব চ্যানেলে গুগল অ্যাডসেন্স পেয়ে যাবেন।
এরপর থেকে আপনার চ্যানেলের ভিডিও যতজন দেখবেন, ততবার অ্যাড দেখাবে। এই অ্যাড থেকে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। অনেকেই ইউটিউবিং করে টাকা উপার্জন করছেন। তাই, ১০ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে আপনিও ইউটিউবিং শুরু করতে পারেন। ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়াগুলোর মাঝে এটি সবথেকে স্থায়ী একটি যা আপনি ঘরে বসেই করতে পারবেন।
১৯. অনলাইনে শিক্ষকতা করা
পড়াতে পারেন? শিক্ষকতা পেশাটি যদি হয় পছন্দের, তবে অনলাইনেই শুরু করে দিতে পারেন শিক্ষকতা। অবাক লাগছে শুনে? অনলাইনে শিক্ষকতা করেও টাকা উপার্জন করা সম্ভব। অনলাইনে শিক্ষকতা করতে পারেন গুগল মিট বা জুম অ্যাপ ব্যবহার করে। করোনাকালীন সময়ে অনলাইন ক্লাসের গুরুত্ব অনেক বেড়ে গিয়েছিলো। যা আগে আমাদের দেশে তেমন প্রচলন ছিলো না।
আপনি যে বিষয়ে দক্ষ, উক্ত বিষয়ের উপর শিক্ষকতা করতে পারেন অনলাইনেই। এজন্য, ১০ হাজার টাকা বা এর কম বিনিয়োগ করতে হতে পারে। অনলাইনে শিক্ষকতা করে টাকা উপার্জন করার ব্যবসায় আইডিয়াটি অনেকের কাছেই নতুন মনে হতে পারে। তবে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তা এখন অনেক জনপ্রিয়।
২০. অনলাইনে বেকারি ব্যবসা
কেক বা বিভিন্ন বেকারি খাবার তৈরি করতে পারলে অনলাইনে এগুলোর ব্যবসা করতে পারেন। অনেকেই ফেসবুকে কেক তৈরি করে বিক্রয় করে থাকেন। আবার, কেকের অর্ডার নিয়ে সেগুলো ডেলিভারি করেও টাকা ইনকাম করে থাকেন। আপনি যদি কেক বা বিভিন্ন মজাদার খাবার বানাতে পারেন, তবে এগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন। হোম ডেলিভারি দিয়ে সহজেই টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
ঘরে বসেই এই ধরণের ব্যবসা করতে পারবেন। শুধু আপনাকে বেকারি পণ্যগুলো তৈরি করা জানতে হবে। তাহলে, অন্যদের মতো আপনিও এই ধরণের ব্যবসা করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
২১. ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাঝে অনেক ধরণের কাজ রয়েছে। যেমন, এসইও, কন্টেন্ট রাইটিং, ফেসবুক অ্যাড, গুগল অ্যাড সহ আরও অনেক কিছু। একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি তৈরি করলে আপনি এই ধরণের সেবাগুলো দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি তৈরি করার জন্য আপনাকে প্রথমেই এই কাজগুলো শিখতে এবং জানতে হবে। এরপর, ভালো একটি টিম বিল্ড করে একটি এজেন্সি তৈরি করতে পারবেন।
অনেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা দিয়ে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করছেন। তাই, আপনি যদি চান, ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি তৈরি করে টাকা উপার্জন করতে পারেন। সবকিছু ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে, তাই, ডিজিটাল এই ব্যবসার আইডিয়াটি কাজে লাগিয়ে লাভবান হতে পারবেন।
২২. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
অনেক বড় বড় কোম্পানির অনেকগুলো সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট থাকে। তাদের একার পক্ষে সবকিছু করার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল করা সম্ভব হয়ে উঠে না। তাই, তারা সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস নিয়ে থাকেন। আপনি চাইলে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট শিখে অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে গিয়ে সার্ভিস দিতে পারেন। অথবা, ই-মেইল মার্কেটিং কিংবা লিড জেনারেশন এর কাজ করেও সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর কাজ নিতে পারবেন।
এরপর, এই কাজটি করে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন ঘরে বসে। এই ব্যবসায়টি করার জন্য শুরুতেই আপনাকে কাজ শিখতে হবে। কাজ শেখার জন্য অনেক কোর্স রয়েছে। এই কোর্সগুলো করে শিখতে পারবেন। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর কাজ করেই প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করছেন।
২৩. ওয়েবসাইট বিক্রির ব্যবসা
একটি ওয়েবসাইট থেকে যদি প্রতি মাসে ১০,০০০ টাকা ইনকাম হয়, হতে পারে এটি গুগল অ্যাডসেন্স থেকে কিংবা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে। তবে, এই ওয়েবসাইটটি বিক্রয় করা সম্ভব ইনকাম এর ২৫-৩০ গুণ বেশি দামে। অর্থাৎ, ১০ হাজার টাকা ইনকাম হওয়া ওয়েবসাইটটি আপনি বিক্রি করতে পারবেন ১০,০০০*২৫= ২,৫০,০০০ টাকায়। আপনার কাছে যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে তবে এটি বিক্রি করে দিয়ে এই পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়াও, ওয়েবসাইট না থাকলে আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেও টাকা উপার্জন করতে পারবেন। অনেকেই রেডিমেড ওয়েবসাইট ক্রয় করে থাকেন বা অন্যকে দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করে নেন। আপনি এদের কাজ করে দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়াও, গুগল অ্যাডসেন্স অনুমোদন নিয়ে ওয়েবসাইট বিক্রি করতে পারবেন অনেক ভালো দামে। ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়াগুলোর মাঝে এই আইডিয়াটি আমি নিজে কাজে লাগিয়ে লাভবান হয়েছি।
২৪. পেয়াজু-সিঙ্গারার দোকান
এলাকার বাজারে গেলেই দেখতে পারবেন পেয়াজু-সিঙ্গারার দোকানে অনেক ভিড়। পেয়াজু-সিঙ্গারা অনেক বিক্রি হয়ে থাকে। রমজান মাসে পেয়াজু, সিদ্ধ বুট, বেগুনি সহ অনেক ধরণের ইফতার আইটেম বিক্রয় করে অনেকেই লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করেছেন। আপনিও এমন একটি দোকান দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। পেয়াজু-সিঙ্গারার দোকান দিয়ে প্রতিদিন ভালো পরিমাণে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
আপনার এলাকার বাজারে কোন খাবারটি বেশি চলে, এটি বিবেচনা করে এই ধরণের দোকান দিতে পারেন। তাহলে, অল্প সময়ে ব্যবসায় সফল হতে পারবেন। এটিও ১০ হাজার টাকায় করা সম্ভব। ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়াগুলোর মাঝে এটি করলেও আপনি অল্প বিনিয়োগে সফল হতে পারবেন।
২৫. লন্ড্রি বা ওয়াশিং ব্যবসা
লন্ড্রি বা ওয়াশিং ব্যবসা করে অনেকেই একটি ব্যবসা দাঁড় করিয়েছেন। ইস্ত্রি মেশিন, কাপড় ধোয়ার ডিটারজেন্ট সহ আরও আনুসাঙ্গিক জিনিস নিয়ে এই ব্যবসায়টি শুরু করতে পারেন। লন্ড্রি ব্যবসা শুরু করার জন্য ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হতে পারে। এরপর, এলাকায় একটি দোকান দিয়ে বা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাপর সংগ্রহ করেও এই ব্যবসা করতে পারবেন। অনেকেই এই ধরণের সার্ভিস নিয়ে থাকেন। তাই, আপনি চাইলে অল্প বিনিয়োগ করে এই রিস্ক ফ্রি বিজনেসটি শুরু করতে পারেন।
ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কিত প্রশ্নউত্তর
২০২৩ সালে কোন পণ্য নিয়ে ব্যবসা করা যায়
২০২৩ সালে এসে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং, অনলাইনে বই/বেকারি পণ্য/কাপড়/প্রসাধনী ইত্যাদি বিক্রির ব্যবসা করতে পারেন। এই ব্যবসাগুলোতে অনেক বেশি পরিমাণে আয় করতে পারবেন। এছাড়াও, টেলিকম ব্যবসা, ইউটিউবিং, ওয়েবসাইট বিক্রি করা, কন্টেন্ট রাইটিং সহ আরও অনেক কাজ আছে, যেগুলোর চাহিদা অনেক বেশি।
অল্প টাকায় ব্যবসার আইডিয়া ২০২৩
অল্প টাকায় ব্যবসা করতে চাইলে সিজনাল ফলের ব্যবসা, অনলাইনে শিক্ষকতা করা, দর্জির দোকান, টেলিটম ব্যবসা করতে পারেন। এই ধরণের ব্যবসায় অনেক কম টাকা বিনিয়োগ করতে হয়।
ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আমাদের মতামত
আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। উপরে উল্লিখিত এই ব্যবসাগুলো চাইলে আপনিও শুরু করতে পারবেন। যে ব্যবসায়টি আপনার সাথে যায়, সেটি করে স্বল্প পুঁজি নিয়েও সফল হতে পারবেন।
এছাড়াও, আপনাদের যদি ব্যবসার আইডিয়া বিষয়ক আরও কোনো প্রশ্ন থাকে, তবে অবশ্যই মন্তব্য করবেন। আমরা অতি দ্রুত উত্তর দেয়ার চেস্টা করবো।এতক্ষন প্রযুক্তির বাংলা ব্লগের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ