ড্রপশিপিং কি এবং ড্রপশিপিং ব্যবসা থেকে আয় করে কিভাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে আজ আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। পুঁজি ছাড়া বা একদম অল্প পুঁজি নিয়ে যেসব ব্যবসা শুরু করা হয়ে থাকে, এগুলোর মাঝে সবথেকে সেরা ব্যবসায় হচ্ছে ড্রপশিপিং ব্যবসা। কিভাবে ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করবেন এবং তা থেকে ইনকাম করবেন, এসব বিষয় জানতে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
ড্রপশিপিং কি?
যেকোনো পণ্য ব্যবসায় শুরু করার সময় ক্রয় করে স্টোর করে না রেখে, উক্ত পণ্য বিক্রয় করার জন্য ক্রেতার অর্ডার পাওয়ার পর যখন অন্য কোথাও থেকে পণ্যটি ক্রয় করে ক্রেতার নিকট পাঠানো হয়, তখন এই ব্যবসায়কে ড্রপশিপিং ব্যবসায় বলে। ড্রপশিপিং ব্যবসায়টি খুচরা ক্রেতা হিসেবে আপনি যেকোনো দোকান থেকে পণ্য ক্রয় করে আপনার ক্রেতার নিকট পাঠানোর মাধ্যমেও করতে পারেন অথবা অন্য ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি পণ্য উক্ত ক্রেতার নিকট পৌঁছিয়ে দিয়েও করতে পারেন।
ড্রপশিপিং ব্যবসায় যেহেতু শুরুতেই পণ্য ক্রয় করে তা স্টোর করতে হয় না, তাই প্রচুর পরিমাণে অর্থ বিনিয়োগও করতে হয় না। অন্য কারও প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেয়ার মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। উদাহরণ হিসেবে ধরুন, আপনি এখন ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করেছেন। আমাদের দেশের যেকোনো ই-কমার্স ওয়েবসাইটের পণ্য নিয়েও এই ব্যবসা করতে পারবেন। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করলেন অথবা ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেয়ার মাধ্যমে ক্রেতার থেকে অর্ডার নিলেন। এরপর, উক্ত পণ্যটি ক্রেতার ঠিকানায় পাঠিয়ে দিবেন আপনি যে ওয়েবসাইট বা স্টোর থেকে পণ্য ক্রয় করলেন, সেখানে থেকে ক্রয় করে। এই মাধ্যমে আপনি পণ্য স্টোর না করেও এই ব্যবসাটি করতে পারবেন।
📌 আরো পড়ুন 👇
ড্রপশিপিং ব্যবসায় যেহেতু পণ্য ক্রয় করে স্টোর করতে হয় না, শুরুতেই বিনিয়োগ করতে হয় না, তাই এই ব্যবসায় বিনা ঝুঁকি নিয়েই মুনাফা অর্জন করা যায়। এই ব্যবসায় সেলার বা বিক্রেতা হচ্ছেন আপনি, আর যিনি পণ্য অর্ডার করছেন, তিনি হচ্ছেন আপনার ক্রেতা বা বায়ার। তৃতীয় পক্ষ, যার থেকে আপনি পণ্যটি ক্রয় করছেন, তিনি হচ্ছেন সাপ্লাইয়ার। আশা করছি, ড্রপশিপিং ব্যবসা কি বুঝতে পেরেছেন।
ড্রপশিপিং ব্যবসার সুবিধা
ড্রপশিপিং ব্যবসার অনেক সুবিধা রয়েছে। যারা নতুন ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য ড্রপশিপিং ব্যবসা অনেক লাভজনক হতে পারে। এই ব্যবসায় কী কী সুবিধা রয়েছে তা নিচে আলোচনা করেছি, চলুন, জেনে নেয়া যাক।
বিনিয়োগ করতে হয় না
ড্রপশিপিং ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে হয় না। এই ব্যবসায় আপনি একজন সেলার হিসেবে কাজ করবেন। আপনার কাজ হচ্ছে শুধু ক্রেতা বা বায়ারের কাছে থেকে পণ্যের অর্ডার গ্রহণ করা। এরপর, ক্রেতার অ্যাড্রেস সহ যাবতীয় তথ্য আপনি যে সাপ্লাইয়ার এর থেকে পণ্য নিচ্ছেন, তাদেরকে দিবেন। তারা আপনার হয়ে পণ্যটি ক্রেতার নিকট পৌঁছিয়ে দিবেন। এই ব্যবসায় আপনাকে শুরুতেই পণ্য ক্রয় এবং তা স্টোর করে রাখার জন্য বিনিয়োগ করতে হবে না।
যেকোনো ব্যবসা শুরু করতে হলে বিনিয়োগ করতে হয় এবং ব্যবসায়ের পণ্য ক্রয় করে রাখতে হয়। ক্রেতা অর্ডার করলে তা পৌঁছিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু, এই ব্যবসায় আপনার হয়ে সব কাজ ফ্রিতেই সাপ্লাইয়ার করে দিবে। তাই, আপনি বিনিয়োগ না করেই এই ব্যবসায়টি শুরু করতে পারবেন।
ঝুঁকি একদম নেই
ড্রপশিপিং ব্যবসায় একদম ঝুঁকি নেই। আপনি অন্য একজন সাপ্লাইয়ার এর পণ্য বিক্রয় করে দিচ্ছেন। এর বিনিময়ে মুনাফা অর্জন করছেন। ব্যবসা শুরু করলে পণ্য ক্রয় করা এবং স্টোর করে রাখার যে ঝুঁকি থাকে, তা আপনার থাকবে না। কারণ, আপনি পণ্য ক্রয় করবেন না। পণ্যের অর্ডার ক্রেতার নিকট থেকে পাওয়ার পর তা ক্রেতার ঠিকানায় পাঠিয়ে দিবেন।
যেহেতু বিনিয়োগ করতে হয় না, তাই আপনার একদমই ঝুঁকি থাকবে না। যারা ঝুঁকি ছাড়াই ব্যবসা শুরু করতে চান, তারা এই ব্যবসায়টি শুরু করতে পারেন।
পণ্য ডেলিভারি করতে হয় না
ক্রেতার নিকট থেকে পণ্যের অর্ডার পাওয়ার পর তা ক্রেতার ঠিকানায় পাঠিয়ে দিতে হয়। কিন্তু, আপনি যখন ড্রপশিপিং ব্যবসা করবেন, তখন আপনার হয়ে পণ্যটি ক্রেতার ঠিকানায় উক্ত সাপ্লাইয়ার করে দিবে। তাই, আপনার কাছে পণ্য ডেলিভারি করার মতো কোনো ঝামেলা থাকবে না। আপনি শুধু ক্রেতার নিকট থেকে পণ্যের অর্ডার নিবেন এবং অর্ডারের সকল তথ্য সাপ্লাইয়ারকে দিবেন।
পণ্য ডেলিভারি করার জন্য নতুন ব্যবসায়ীদেরকে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। তাই, ড্রপশিপিং ব্যবসায় শুরু করলে এই ঝামেলা ছাড়াই মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।
ক্ষতির সম্ভাবনা নেই
ড্রপশিপিং ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে হয় না, শিপিং করতে হয় না। এছাড়াও, নির্দিষ্ট পরিমাণ লভ্যাংশ রেখে পণ্য বিক্রয় করা হয়। তাই, আপনি সাপ্লাইয়ার থেকে যে দামে পণ্য ক্রয় করবেন, তার থেকে যে পরিমাণ লভ্যাংশ রাখবেন, সেটি প্রায় পুরোটিই আপনার লাভ। কারণ, শিপিং এবং পণ্য ক্রয় ও স্টোর করে রাখতে যে ব্যয় হতো, সেই আপনার হচ্ছে না।
তাই, বিনিয়োগ করে ক্ষতির মুখেও পড়তে হবে না আপনাকে। ক্ষতি হবে না এমন ব্যবসার আইডিয়া যারা খুজছেন, তারা ড্রপশিপিং ব্যবসায় শুরু করতে পারেন। ড্রপশিপিং ব্যবসার সুবিধাগুলো কি কি তা তো জানা হলো, এখন চলুন, ড্রপশিপিং ব্যবসার অসুবিধা সমূহ জেনে নেয়া যাক।
ড্রপশিপিং ব্যবসার অসুবিধা
ড্রপশিপিং ব্যবসার সুবিধা অনেক থাকলেও অসুবিধা রয়েছে অল্প কিছু। এসব অসুবিধা এতটাও বড় না যে আপনি এই ব্যবসায় শুরু করতে পারবেন না বা আপনার শুরু করা উচিত না। আপনি যখন এই ব্যবসায়টি শুরু করবেন, তখন পণ্য আপনার হয়ে সাপ্লাইয়ার শিপিং করে দিবে। তাই, পণ্য শিপিং এ প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সময় লাগলে তার দায় আপনার উপরই বর্তাবে।
📌 আরো পড়ুন 👇
ড্রপশিপিং ব্যবসার আরেকটি অসুবিধা হচ্ছে, আপনি আপনার ক্রেতার কাছে কোন পণ্য পাঠাচ্ছেন এটি জানেন কিন্তু পণ্যের কোয়ালিটি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারছেন না। কারণ, পণ্যটি সাপ্লাইয়ার কর্তৃক ডেলিভারি করা হচ্ছে। তবে, আপনি সাপ্লাইয়ার এর সাথে কথা বলে পণ্যের মান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিতে পারেন। এই সাধারণ সমস্যাগুলো ছাড়া ড্রপশিপিং ব্যবসায় আর তেমন কোনো অসুবিধা নেই।
ড্রপশিপিং ব্যবসা থেকে আয় করে কিভাবে?
ড্রপশিপিং ব্যবসা থেকে আয় করার জন্য আপনার কোন ধরণের বিনিয়োগ করতে হবে না। এই রিস্ক ফ্রি ব্যবসায়টি কিভাবে শুরু করবেন সেটাই ভাবছেন নিশ্চয়ই? ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করে টাকা আয় করতে হলে আপনাকে কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। কি কি এই পদ্ধতি সমূহ তা নিয়ে নিচে আলোচনা করেছি। চলুন, জেনে নেয়া যাক।
ড্রপশিপিং ব্যবসায়ের ধরণ নির্বাচন
আপনি কোন ধরণের পণ্য নিয়ে এই ব্যবসায়টি শুরু করবেন এবং কোন ধরণের কাস্টমারকে টার্গেট করে আপনার ব্যবসায়টি গঠন করবেন তা শুরুতেই নির্ধারণ করতে হবে। একটি সঠিক এবং দূরদর্শী ব্যবসায়ের ধরণ নির্বাচন করা সম্ভব হলে অনেক দ্রুত উক্ত ব্যবসায় লাভবান হওয়া যাবে। তাই, ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করতে চাইলে শুরুতেই আপনার ব্যবসায়ের ধরণ নির্বাচন করতে হবে।
📌 আরো পড়ুন 👇
আপনি যে ধরণের ব্যবসায় করতে চাচ্ছেন, অর্থাৎ যে ধরনের পণ্য নিয়ে এই ব্যবসায়টি শুরু করতে চাচ্ছেন, সেটি কোন কোম্পানি বা সাপ্লাইয়াররা সরবরাহ করতে পারবে তা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য আপনাকে সঠিক সাপ্লাইয়ার খুঁজতে হবে। নিচে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন।
সাপ্লাইয়ার খুঁজে বের করা
ড্রপশিপিং ব্যবসায়টি করতে হলে আপনাকে প্রথমেই সাপ্লাইয়ার খুঁজে বের করতে হবে। যার থেকে পণ্যটি আপনি ক্রেতার নিকট পাঠাতে পারবেন। আমাদের দেশে অনেক ড্রপশিপিং সাপ্লাইয়ার রয়েছে। আপনি চাইলে এদের খোঁজ বের করে তাদের সাথে চুক্তি করতে পারেন। অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, যারা ড্রপশিপিং সুবিধা দিয়ে থাকে। আপনি যে ধরণের পণ্য নিয়ে ড্রপশিপিং করবেন, তার উপর ভিত্তি করে সাপ্লাইয়ার খুঁজে বের করতে হবে।
আন্তর্জাতিক মানের অনেক ড্রপশিপিং সুবিধা রয়েছে। আপনি যদি ইন্টারন্যাশনাল কাস্টমার নিয়ে ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করতে চান, তবে শপিফাই ড্রপশিপিং করতে পারেন। এছাড়াও, আরও অনেক সাপ্লাইয়ার রয়েছে। তার আপনার হয়ে পণ্যটি ক্রেতার নিকট পৌঁছিয়ে দিবেন।
এই দুইটি বিষয় নিশ্চিত হয়ে গেলে এখন আপনি কিভাবে এই ব্যবসায়টি পরিচালনা করবেন, অর্থাৎ কোন মাধ্যমে বিক্রয় করবেন তা ঠিক করতে হবে। নিম্নে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
ড্রপশিপিং ব্যবসা করে আয়
ড্রপশিপিং ব্যবসা করে আয় করার জন্য আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি কোন মাধ্যমে আপনার ব্যবসায়ের প্রচার করবেন এবং বিক্রয় বৃদ্ধি করবেন। এজন্য আপনি একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন এবং সেখানে ড্রপশিপিং পণ্য বিক্রয় শুরু করতে পারেন। অথবা, একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করে সেখানেও বিক্রয় করতে পারেন। এছাড়াও, ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও বানিয়েও ড্রপশিপিং ব্যবসায়ের পণ্য বিক্রয় করা সম্ভব।
ধরে নিলাম আপনার মাধ্যম নির্বাচন করা হয়ে গেছে। আপনি উপরের যেকোনো একটি/দুইটি/তিনটি মাধ্যম নির্বাচন করলেন। এখন, আপনার ব্যবসায়ের প্রচার করতে হবে। প্রচার না করলে তো কেউ জানবে না যে আপনি ব্যবসায় করছেন এবং আপনার কাছে কী কী পণ্য পাওয়া যাবে। এজন্য কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। এগুলো হচ্ছে –
এসইও অপ্টিমাইজেশন
আপনি যদি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করেন, তবে এসইও করে গুগল সার্চ ইঞ্জিন সহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইট সবার উপরে নিয়ে আসতে পারবেন। এতে করে, কেউ যখন কোনো প্রোডাক্ট সম্পর্কে গুগলে সার্চ করবে, তখন আপনার ওয়েবসাইট উপরে চলে আসবে ও তারা আপনার ওয়েবসাইট থেকে পণ্যটি ক্রয় করবে। এতে করে, আপনি তাদের ঠিকানায় পণ্যটি সাপ্লাইয়ার কর্তৃক পাঠিয়ে দিয়ে ড্রপশিপিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুক মার্কেটিং
আমাদের দেশের সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ ফেসবুকে অনেক সময় ব্যয় করে থাকেন। আপনি যখন একটি ব্যবসায় শুরু করেন, তবে ফেসবুক মার্কেটিং করে সহজেই আপনার ব্যবসায়টি বৃদ্ধি করতে পারবেন। এতে করে অনেক সংখ্যক কাস্টমার পাবেন। অনেকেই ফেসবুক মার্কেটিং করে বিভিন্ন ধরণের ব্যবসায় বৃদ্ধি করছেন এবং ভালো পরিমাণে মুনাফা অর্জন করছেন। তাই, এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করে আপনার ব্যবসায়টির প্রচার করতে পারেন।
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং
ফেসবুক, ইউটিউব এ অনেক ইনফ্লুয়েন্সার রয়েছে। তাদের সাথে চুক্রি করলে, তার আপনার ব্যবসায় প্রোমোট করে দেয়ার বিনিময়ে টাকা নিবে। ইনফ্লুয়েন্সারদের অনেকেই ফলো করে থাকেন। তাই, ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং করে অল্প সময়ের মাঝে অধিক পরিমাণে কাস্টমার পেয়ে যাবেন। এভাবে ধীরে ধীরে আপনার ব্যবসায়টি বড় করতে পারবেন।
উপরোক্ত এই মাধ্যমগুলোতে আপনি আপনার সদ্য শুরু করা ব্যবসায়টির মার্কেটিং করতে পারবেন। যত বেশি প্রচার করবেন, তত বেশি প্রসার হবে এবং মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। মার্কেটিং করার মাধ্যমে ক্রেতার থেকে অর্ডার নেয়ার পর, অর্ডার এর তথ্য সাপ্লাইয়ার এর নিকট পৌঁছিয়ে দিলে তারা আপনার ক্রেতার ঠিকানায় পণ্য পৌঁছিয়ে দিবেন।
📌 আরো পড়ুন 👇
পণ্য পৌঁছিয়ে দিয়েই একজন সেলার হিসেবে আপনার দায়িত্ব শেষ নয়। ক্রেতার স্যাটিসফ্যাকশন দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসায়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ক্রেতার সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবহার বজায় রাখুন, তাকে জিজ্ঞাসা করুন পণ্য ঠিকমতো পেয়েছেন কি না, কোনো সমস্যা রয়েছে কি না। এতে করে আপনি দীর্ঘমেয়াদি সময় যাবত ব্যবসায় পরিচালনা করতে পারবেন এবং পার্মানেন্ট কাস্টমার পেয়ে যাবেন।
ড্রপশিপিং কি হালাল
বৈধ এবং হালাল পণ্য নিয়ে ড্রপশিপিং ব্যবসায় করা হালাল। এই ব্যবসায় আপনি কোন অনৈতিক কাজ করছেন না, তাই এটি ব্যবসায়টি হালাল। ড্রপশিপিং ব্যবসায় করার জন্য আপনি অন্য সাপ্লাইয়ার এর সহযোগিতা নিচ্ছেন। এখানে হারাম এর কিছুই হচ্ছে না। তাই এই ব্যবসায়কে হারাম বলা যাবে না যতক্ষণ পর্যন্ত কেউ হারাম পণ্য বা অবৈধ পণ্য নিয়ে এই ব্যবসায়টি পরিচালনা করছেন না।
ড্রপশিপিং নিয়ে আমাদের মতামত
আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে ড্রপশিপিং কি, ড্রপশিপিং ব্যবসা থেকে আয় করে কিভাবে এবং কিভাবে আপনি একটি ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করে ইনকাম করবেন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি, পোস্টে উল্লিখিত সকল তথ্য বুঝতে পেরেছেন। যেকোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই মন্তব্য করবেন। এতক্ষন প্রযুক্তির বাংলা ব্লগের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।