কাঠ বাদাম এর উপকারিতা। কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম ২০২৩

4.3/5 - (3 votes)

কাঠ বাদাম এর উপকারিতা – কাঠ বাদাম আমরা প্রায় সকলেই চিনি। অনেকেই আবার প্রতিনিয়ত কাঠ বাদাম খাচ্ছেন শরির সুস্থ রাখার জন্য। আমরা অনেকে হয়ত চিনিও না কাঠ বাদাম আসলে কেমন। স্বাস্থ্যের জন্য বাদাম অনেক উপকারি তা প্রায় সকলেই জানি। তাহলে কাঠ বাদাম খেলে কি কি উপকারিতা ও অপকারিতা পাওয়া যায় তা সম্পর্কে জেনে নিন আজকের আর্টিকেলে।

আমাদের আজকের আর্টিকেলে কাঠ বাদাম সংক্রান্ত সকল বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনাদের সামনে তুলে ধরব। যদি আপনি কাঠ বাদাম খেতে চান সে ক্ষেত্রে সম্পুর্ণ আর্টিকেল টি বিস্তারিত ভাবে পড়ে নিন।

কাঠ বাদাম এর পরিচয়

কাঠ বাদাম এক ধরণের বীজ। বীজের নাম অনুসারে গাছ কে কাঠবাদাম গাছ বলা হয়। এই গাছ গুলো অনেক বড় হয় এবং ফলের মধ্যে ছোট ছোট কয়েকটি করে বীজ থাকে। পরিপক্ক ফলের বীজ সাধারণত ৩ থেকে ৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।

ফলের মধ্যে এই লম্বা বীজ গুলোকে সাধারণত কাঠ বাদাম বলা হয়। এই বীজ ফলের মধ্য হতে বের করে ভেজে বা নানান উপায় খাওয়া হয়। কাঠ বাদাম গাছ আফ্রিকা, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাঠ বাদাম জন্মে।

সাধারনত একটি কাঠ বাদাম গাছ ১০০-১৫০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। গাছের বয়স হলে কেবল ফল হওয়া শুরু করে। তবে কাচা ফলের বীজ খাওয়ার উপযোগী নয়, ফল পাকলেই কেবল কাঠ বাদাম খাওয়ার জন্য উপযুক্ত হয়।

আরো পড়ুন 👇

আশা করি কাঠ বাদাম এর গাছ ও ফল সম্পর্কে জানা না থাকলে ইতিমধ্যেই তা জেনে গেছেন। কাঠ বাদাম এর অনেক উপকারিতা রয়েছে যা আমরা নিচে বিস্তারিত তুলে ধরলাম –

কাঠ বাদাম এর উপকারিতা

কাঠ বাদাম এর উপকারিতা

কাঠ বাদামে প্রচুর পরিমানে পুস্টি উপাদান বিদ্যমান আছে। কাঠ বাদাম খাওয়া ছাড়াও এটা দিয়ে বিভিন্ন ধরণের রুপচর্চা করা যায়। আমাদের ত্বকের যত্নে কাঠ বাদাম বিশেষ ভাবে কাজ করে। কাঠ বাদাম খাওয়ায় যে সকল উপকারিতা পাওয়া যায় সেগুলো হলো –

১ – স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে কাঠ বাদাম

সাধারনত মস্তিস্কের যত কার্যক্ষমতা ভালো থাকবে ততো বেসি স্মৃতি শক্তি ভালো থাকবে। মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে দুটি উপাদান এর প্রয়োজন হয় – রিবোফ্লাভিন ও এল ক্যারটনিটিন। কাঠ বাদাম এর পুস্টি গুন এর মধ্যে এই দুটি উপাদান পাওয়া যায়। স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে কাঠ বাদাম বেশ উপকারি।

২ – হার্ট সুস্থ রাখতে কাঠ বাদাম এর উপকারিতা

কাঠ বাদাম ভিজিয়ে খেলে হার্ট সুস্থ রাখে। হার্ট আমাদের শরিরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। হার্টের সুস্থতার ক্ষেত্রে পরিমান মতো নিয়মিত কাঠ বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। কাঠ বাদামে রয়েছে ভিটামিন – ই, পটাশিয়াম, প্রোটিন যা হার্ট কে সুস্থ রাখার জন্য কার্যকরী ভুমিকা পালন করে থাকে।

৩ – ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে কাঠ বাদাম এর উপকারিতা

ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যা থেকে মুক্তি পাওয়া অসম্ভব। তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখলে তেমন কোনো সমস্যা থাকে না। ডায়াবেটিস এর রোগিদের ক্ষেত্রে খাওয়ার পরে কাঠ বাদাম খেলে এটা ইনসুলিনের পরিমানে কমাতে সাহায্য করে থাকে। যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে সেক্ষেত্রে আপনি কাঠ বাদাম খেলে অনেক উপকারিতা পাবেন।

৪ – উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করে কাঠ বাদাম

উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস এর মতোই একটি দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা। কাঠ বাদামের মধ্যে রয়েছে সোডিয়াম যা আপনার শরিরের রক্ত চাপ এর ওঠানামা নিয়ন্ত্রন করতে পারে। এ ছাড়াও কাঠ বাদামের মধ্যে থাকা ফসফরাস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করে থাকে।

৫ – শক্তি বাড়াতে কাঠ বাদামের উপকারিতা

শরিরের শক্তি আমাদের কাজের ক্ষেত্রে অনেক বেশি দরকারি। অনেকের রোগা শরিরের কারনে শরিরে শক্তি কম থাকে। অতিরিক্ত কাজ করার ফলে আমদের শরিরের শক্তি আসতে আসতে কমতে থাকে। কাঠ বাদাম আপনার শরিরের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন দুই/তিন টি কাঠ বাদাম আপনার শরিরের শক্তি অনেক গুন বাড়িয়ে দিবে।

৬ – কোষের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে কাঠ বাদাম

ভিটামিন – ই আমাদের শরিরের সকল কোষের জন্য অনেক বেশি উপকারি। আমদের শরিরের কোষ গুলো যত বেশি কার্যক্ষম থাকবে তত বেশি সুস্থ থাকবো। কাঠ বাদামে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ই থাকে। যা শরিরের কোষ গুলোকে নস্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।

৭ – শরিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কাঠ বাদাম

শরিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত বেশি থাকবে আমাদের শরির ততো বেশি সুস্থ থাকবে। বিভিন্ন ধরণের রোগের হাত থেকে রক্ষা করে ভিটামিন ই ও এন্ট্যি অক্সিডেন্ট। কাঠ বাদামে এই উপদান গুলো প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়। যদি আপনি চান আপনার শরিরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবেন তাহলে কাঠ বাদাম খেতে পারেন।

আরো পড়ুন 👇

৮ – হাড় শক্ত করে কাঠ বাদাম

শরিরের হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে কাঠ বাদাম। কাঠ বাদামে প্রচুর পরিমানে ফসফরাস ও মিনারেল পাওয়া যায় যা আমাদের দেহের হাড় কে আরো বেসি মজবুত ও ক্ষয় হওয়া থেকে রক্ষা করে থাকে।

৯ – দাত শক্ত করে

একটি প্রচলিত প্রবাদ আছে যে – “দাত থাকতে দাতের মর্যাদা দিতে হয়” দাত না থাকার কারণে বয়স্ক কালে অনেক খাবার খেতেই সমস্যা দেখা যায়। যদি আপনি আপনার দাত কে মজবুত ও শক্ত করতে চান তাহলে কাঠ বাদাম খেতে পারেন। দাত মজবুত করা ক্ষেত্রে কাঠ বাদাম অনেক উপকারি।

১০ – কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে কাঠ বাদাম

সাধারণত কাঠ বাদামে প্রচুর পরিমানে ফাইবার পাওয়া যায়। আর ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য এর রোগীদের জন্য অনেক ভালো ভাবে কাজ করে থাকে। যদি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য এর সমস্যা থাকে তাহলে কাঠ বাদাম খেয়ে দেখতে পারেন।

১১ – ওজন নিয়ন্ত্রন করতে কাঠ বাদাম এর উপকারিতা

কাঠ বাদাম খেলে ওজন কমে না যদিও তবে কাঠ বাদাম শরিরে অতিরিক্ত ওজন হওয়া থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে থাকে। বাদামে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন থাকার কারনে এটা খাওয়ার পরে ক্ষুদার মাত্রা কমে যায়। যার ফলে আপনার অতিরিক্ত আর কিছু খাওয়ার প্রয়োজন পরে না। মূলত এভাবেই আসলে ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে কাঠ বাদাম।

১২ – ক্যান্সার প্রতিরোধ করে কাঠ বাদাম

কাঠ বাদামে থাকা উপাদান গুলো ক্যান্সার প্রতিরোধে অনেক বেশি সাহয্য করে থাকে। সুস্থ শরির রাখার পাশাপাশি ক্যান্সার এর প্রতিরোধ করতে কাঠ বাদাম খেতে পারেন নিয়মিত।

১৩ – পুষ্টিহীনতা দূর করতে কাঠ বাদামের উপকারিতা

শরিরের পুষ্টির ঘাটতি দূর করে দিতে পারে কাঠ বাদাম। যদি আপনার শরিরে পর্যাপ্ত পরিমান পুষ্টি না থাকে তাহলে নিয়মিত কাঠ বাদাম ভিজিয়ে খেতে পারেন। কাঠ বাদাম শরিরের অনেক পুষ্টির ঘাটতি দূর করে দিতে পারবে।

১৪ – চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে কাঠ বাদাম

আমাদের অনেকের চুল পরে যাওয়ার সমস্যা থাকে। চুল বৃদ্ধি করতে চাইলে খেতে পারেন কাঠ বাদাম। কাঠ বাদামে আছে ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন – ডি যা আমাদের চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে।

১৫ – ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি তে কাঠ বাদাম এর উপকারিতা

ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য কাঠ বাদাম খেতে পারেন। কাঠ বাদামে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি আছে। যা আমাদের শরিরের ত্বকের জন্য অনেক উপকারি। এ ছাড়াও কাঠ বাদাম দিয়ে বিভিন্ন ধরণের রুপচর্চা মাস্ক তৈরি করে ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।

কাঠ বাদাম এর অপকারিতা

কাঠ বাদামের যেমন অনেক ধরণের উপকারিতা আছে ঠিক তেমনি রয়েছে অপকারিতা এর দিক। কাঠ বাদাম খেলে যে ধরণের সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে সেগুলো হলো –

এলার্জি সমস্যা আপনার এলার্জি থাকলে কাঠ বাদামে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়াও আপনার পরিমান মতো কাঠ বাদাম খাওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত খেলে পেট ব্যাথা ও দেখা দিতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা – কাঠ বাদাম এ যেহেতু ফাইবার থাকে তাই আপনি যদি পরিমান এর চেয়ে বেশি কাঠ বাদাম খান সে ক্ষেত্রে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।

ওজন বাড়ে কাঠ বাদামে প্রচুর পরিমানে ফ্যাট আছে যদি আপনি নিয়মিত কাঠ বাদাম খান সে ক্ষেত্রে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা আছে।

শ্বাসকষ্ট এর সমস্যা – অতিরিক্ত ও একটা না বেশিদিন পরিমানে বেশি কাঠ বাদাম খাওয়ার ফলে শাসকস্ট সহ মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

ডায়রিয়া হতে পারে – জানা যায় যে – ২৫ গ্রামের চেয়ে বেশি কাঠ বাদাম খাওয়া আমাদের শরিরের জন্য মোটেও ভাল নয়।

এ ছাড়াও শরির এর অবস্থা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি আপনি প্রতিদিন ও দীর্ঘদিন ধরে কাঠ বাদাম খাওয়ার চিন্তা করেন তাহলে একজন ডাক্তার দেখিয়ে তার পরামর্শ গ্রহণ করেই কেবল বাদাম খেতে হবে। নাহলে অনেক ধরণের মারাত্নক সব সমস্যা দেখা দিতে পারে আশা করি কাঠ বাদাম এর অপকারিতা বুঝতে পেরেছেন।

কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম

কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম

কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম অনেকেই খুজে থাকেন। আমাদের আর্টিকেলের এ পর্যায় জেনে নিন কাঠ বাদাম কিভাবে খাবেন সে সম্পর্কে। কাঠ বাদাম আপনি চাইলে অনেক ভাবে খেতে পারেন। সাধারণ ভাবে কাঠ বাদাম ভেজে খাওয়া যায়, কাচা কাঠ বাদাম ও খেতে পারেন। তবে কাচা কাঠ বাদাম খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। তাই কাঠ বাদাম ভেজে খাওয়া সবচেয়ে ভালো।

এ ছাড়াও কাঠ বাদামের সকল গুনাগুন পাওয়ার জন্য আপনি চাইলে কাঠ বাদাম ভিজিয়ে খেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আপনাকে ২-৩ টা কাঠ বাদাম একটা বাটিতে সম্পুর্ণ পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে ১০১৫ ঘন্টা এর মতো। এর পরে পানি ফেলে দিয়ে পরিস্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। ধুয়ে নেয়ার পরে বাদাম গুলো কে রোদে শুকিয়ে খেলে বাদাম এর সকল পুস্টিগুন সঠিক ভাবে পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন 👇

তবে পরিমান মতো কাঠ বাদাম খাওয়া উচিত। কখনই পরিমানের বেশি কাঠ বাদাম খাবেন না। প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩০ গ্রাম এর চেয়ে অধিক কাঠ বাদাম আপনার শরিরের জন্য বিপদ জনক সমস্যা নিয়ে আসতে পারে।

কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিক

কাঠ বাদামের অনেক ক্ষতির দিক রয়েছে। কাঠ বাদাম কখনোই পরিমান এর বেশি খাওয়া উচিত নয়। বেশি কাঠ বাদাম খাওয়ার ফলে পেটের সমস্যা ও ফ্যাট থাকার কারনে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

যেহেতু কাঠ বাদামে এন্ট্যিওক্সিডেন্ট আছে অতিরিক্ত পরিমান ও দীর্ঘদিন ধরে কাঠ বাদাম খাওয়ার ফলে আপনার শরিরের শাস কস্ট জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমন কি মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা ও থেকে যায়।

তাছাড়াও আপনার শরিরে যদি কোনো ধরনের রোগ থাকে বা এলার্জি থাকে তাহলে কাঠ বাদাম খাওয়ার পুর্বে রেজিস্টার্ড ডাক্তার এর পরামর্শ গ্রহণ করেই কেবল কাঠ বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আশা করি কাঠ বাদাম এর ক্ষতিকর দিক গুলোর উপরে অনেক বেশি গুরুত্ব দিবেন খাওয়ার পূর্বেই।

কাঠ বাদামের পুস্টি উপাদান

কাঠ বাদাম অনেক গুলো ভিটামিন এর সমন্বয়ে গঠিত। কাঠ বাদাম্র প্রচুর পরিমানে পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান রয়েছে। যে সকল পুষ্টি উপাদান কাঠ বাদামে বিদ্যমান সেগুলো হলো –

  • কপার
  • ভিটামিন – ই
  • ভিটামিন – বি
  • ক্যালসিয়াম
  • সেলেনিয়াম
  • ম্যাগনেসিয়াম
  • রিবোফ্লোবিন
  • আয়রন
  • জিংক
  • প্রোটিন
  • ফাইবার
  • ফ্যাট
  • থায়ামিন
  • নিয়াসিন
  • পটাশিয়াম

ইত্যাদি পুষ্টিগুন গুলো প্রচুর পরিমানে রয়েছে কাঠ বাদামের মধ্যে।

কাঠ বাদামের দাম

অনেকেই কাঠ বাদাম এর দাম সম্পর্কে জানেন না তারা চাইলে দেখে নিতে পারেন কাঠ বাদাম এর দাম সম্পর্কে। সাধারণত কাঠ বাদাম এর দাম মোটামুটি অনেক বেশি। সাধারণত ১ কেজি কাঠ বাদাম এর দাম ৮০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে সিজনের সময়ে দাম কিছুটা কমে যায়।

১০০ গ্রাম কাঠ বাদামের দাম কত

১০০ গ্রাম কাঠ বাদাম এর দাম ১০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।

কাঠ বাদাম কত টাকা কেজি

১ কেজি কাঠ বাদামের দাম ৮০০৯০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। সিজন এর উপরে কাঠ বাদাম এর দাম নির্ভর করে থাকে।

কাঠ বাদাম তেলের দাম

বিভিন্ন ধরণের তেলের মতো করেই কাঠ বাদাম দিয়ে বিভিন্ন ধরণের তেল বানানো হয়ে থাকে। যে তেল গুলো চুলের জন্য অনেক বেশি উপকারি হয়ে থাকে। অনেকেই জানতে চান যে কাঠ বাদাম এর তেলের দাম কত টাকা। সাধারণত কাঠ বাদাম এর তেলের দাম ৬০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।

বাজারে অনেক ধরণের কাঠ বাদাম এর তেল পাওয়া যায়। তেলের গুনাগুন ও পরিমান অনুযায়ী দামের ভিন্নতা হতে পারে। তবে তেল কেনার পূর্বেই অবশ্যই পরিক্ষা করে নিবেন আসলেই কাঠ বাদাম এর তেল নাকি। বাজারে অনেক তেল পাওয়া যায় যা কাঠ বাদাম এর তেল নামে বিক্রি করা হয়ে থাকে।

কাঠ বাদাম ও মধুর উপকারিতা

বাদাম এর সাথে মধু মিশিয়ে খেলে অনেক ধরণের উপকারিতা পাওয়া যায়। বিশেষ করে মধুর উপকারিতা ও বাদাম এর উপকারিতা দুটো এক সাথে পাওয়া যায়। শরিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

পাশাপাশি আপনার শরিরের শক্তি দ্রুত বৃদ্ধি করতে বাদাম এর সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে খাওয়ার পূর্বে জেনে নেয়া ভালো এটা খাওয়ার ফলে আপনার অন্য কোনো সমস্যা হবে কি না। কাঠ বাদাম আপনারা চাইলে অনেক ভাবেই খেতে পারেন বা শরিরের বিভিন্ন স্থানে ব্যবহার করতে পারেন।

কাঠ বাদাম সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন‌উত্তর

কাঠ বাদাম খেলে কি ওজন বাড়ে?

কাঠ বাদাম অনেকেই ওজন বাড়ানোর জন্য খাওয়ার চিন্তা করছেন। কাঠ বাদাম খেলে ওজন বাড়ে তবে যদি একদম এই কম খান তাহলে ক্ষুদা মন্দা হতে পারে। যদি দ্রুত ওজন বাড়াতে চান তাহলে কাঠ বাদাম খেতে পারেন। কাঠ বাদামে প্রচুর পরিমানে ফ্যাট রয়েছে। তবে কাঠ বাদাম খাওয়ার পরে বেশি পরিমান পানি খেতে হবে যেহেতু এটা হজম হতে অনেকটা সমহ লেগে যায়।

কাঠ বাদামে কি এলার্জি আছে?

কাঠ বাদামে এলার্জির উপাদান পাওয়া যায়। কাঠ বাদাম খেলে এলার্জির সমস্যা হতে পারে। যদি আপনার এলার্জি থাকে তাহলে কাঠ বাদাম পরিমান এর চেয়ে বেশি খাওয়া একদম এই উচিত নয়।

কাঠ বাদামের ইংরেজি নাম কি?

কাঠ বাদাম এর ইংরেজি নাম হলো “Almond“। এবং বিজ্ঞানে কাঠ বাদাম কে “Terminalia Catappa” নামে ডাকা হয়।

কাঠ বাদাম সম্পর্কে আমাদের শেষ কথা

কাঠ বাদাম এর উপকারিতা – আর্টিকেলে আমরা কাঠ বাদাম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরলাম। যদি আপনি কাঠ বাদাম সম্পর্কে আপনার জানা না থাকে তাহলে অনেক কিছুই জেনে নিতে পারবেন এখান থেকে। কাঠ বাদাম খাওয়া ঠিক হবে না যদি হজম শক্তি তে আপনার সমস্যা থাকে। যদি হজমে সমস্যা থাকে তাহলে প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে।

এসব বিষয় যদি বুঝতে অসুবিধা হয় অথবা কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে কমেন্ট করতে পারেন। এতক্ষন প্রযুক্তির বাংলা ব্লগের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

পোষ্টটি শেয়ার করুন

Leave a Comment